ভালবাসা আমার জীবন। আমার সকল চাওয়া পাওয়া শুধু তোমাকে নিয়ে। এটাই একটা কথা প্রিয় আমি তোমার আছি। এমনি ফুলের বাগানে তোমায় রাখব আমি সাজিয়ে, তোমায় আমি করব বধু সানাই বাদ্য বাজিয়ে। তার পরেও কেন যে হায় পারিনা আমি বোঝাতে, একটু শুধু পাশে থেক জীবন টাকে সাজাতে।

গানের ভুবনে মন রাঙ্গাতে এখানে ক্লিক করুন।

এই হৃদয়ে একটা সুন্দর বাসা আছে যা শুধু তোনার জন্য রাখা । সেই ছোট্ট ঘরে আরো আছে রঙ তুলিতে মাখা। তুমি সকাল হলে আমি ভোরের সুর্য হয়ে দেখা দেব। তুমি পাখি হও তবে আমি হব আকাশ। তুমি বেল্কুনির অধিকারিনী হলে আমি দক্ষিণা বাতাস হয়ে ছুয়ে যাব তোমায়। শুধু তোমায় আর শুধু তোমায়।

 এখন এতটা রাত জেগে আছি  শুধু তুমি আসবে বলে। আমার আংগিনায় তোমার পদধুলি আমার সাজানো বাগান টাকে করবে স্বার্থক। প্রতিতা ঘাস আর পাতা তোমাকে নুয়ে কুর্নিশ করে বলবে, "আমদের জগতে তোমাকে স্বাগতম। এই খানে তোমার জন্য আছে শুধু সুখ আর সুখ। কোন ক্লান্তি, কোন চিন্তা, কোন বেদনা তোমাকে ছুতে পারবেনা।" আর ফুলগুলো বলবে," আমার সুবাস শুধু তোমার জন্ন।তুমি না শুকে দেখলে আমাদের জন্ম বৃথা হবে।"

আজ তুমি এক নতুন আমাকে দেখছ। যে কিনা তার সবটুকু দিয়ে আজ তোমাকে উজাড় করে দিলো। তোমার জন্য তার সকল চলার পথ সুগম করে দিল। মনের সেই এক টুকরো আস্ন খানি তোমার জন্য। এই আমার সবটুকু, যার আর কিছু আবশিষ্ট কিছুই থাকল না। থকলে শুধু তুমি। এখন তুমি আমার সব চাওয়ার উৎস। আর তাই তোমায় আই বুকে জড়িয়ে ধরে একবার প্রান খুলে বলতে চাই " ভালবাসি তোমায় আমি ভালোবাসি"

আজ ১৪ ই ফেব্রুয়ারী। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। আর তাই প্রথমে আপনাদের কে জানাই আসীম ভালবাসা আর প্রান ঢালা আভিনন্দন ও সুভেচ্ছা। আর বেশী ভালবাসা আমার ব্লগটি কে ভিজিট  করার জন্য।
 

ভালোবাসি তোমাকে

একালের ভালবাসা আর সেকালের ভালবাসা তা আনেক ভিন্ন। আজকাল ভালবাসা টা একটা স্মার্টনেছ এ পরিনত হয়ে গেছে। 
সেকালের ভালবাসা  ঃ প্রেমিক-প্রেমিকা দেখা করত কোন এক নিবিড় পরিবেশে। এক পলকে মিটে যেত সকল আশা। একবার দেখা করতে কয়েক মাস বা কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হত। দূরে থেকে যোগাযোগ করার একটাই মাধ্যম ছিল চিঠি। ভালবসি কথাটা বলতে লেগেছে অনেক সময়। এরপর বিয়ে ===>




একালের ভালবসা ঃ আজ ভাল লাগা, কাল কথা বলা। ৩য় দিন আর একটু গভীরতা। পরের দিন কোন চাইনিজ
রেস্তোরায় গিয়ে একটা লাঞ্চ সেরে নিয়ে, কোন খোলা রাজপথে লং ড্রাইভ দেয়া। তার পরের দিন কোন এক নির্জন 
যায়গাতে গিয়ে প্রেমের পরিনতি  লাভ করা।  এই তো সুখ। আজ কাল মানুষের ব্যস্ততা এত বেশী যে প্রেম মধুর 
হওয়ার আগেই তার পরিনতিটাকে পেতে চায়। কি জানি ?হয়তএতেই একালের মানুষ গুলো সুখ পায়।
এটাই হয়তো একালের ভালবাসার রীতি নীতি।


তবে যাই হোক না কেন.........
ভালবাসা কিন্ত তার অবস্থানেই আছে। এভাবে আর সেভাবে, একালে আর সেকালে যাই হোক মানুষ ভালবেসেই যাচ্ছে। এই ধারা চলতে থাকবে আজীবন। ধরণ বদলে গেলেও প্রেম-ভালবাসা টা কিন্ত প্রেম-ভালবাসা  থাকবে আজীবন।
জীবনে একটিবার হলেও সকল প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরকে বলবে," ভালোবাসি তোমাকে"।

সুখের পরম ছোঁয়া

তুমি কাছে এলে মনে হয় যেন হারিয়ে যাই কোনো সুখে। আমার মাঝে আর আমি থাকি না। কি যে যাদু ওই হাতে আর কোমল ত্বকে...আমি বুঝি না। আমার দু বাহুতে তুমি থাকলে যেন মনে হয় আমার সব আছে। আমি পরম সুখী, তিলে তিলে পূর্ন আমার এ জীবন।

কিন্ত একটু ছোয়া দিয়ে হারিয়ে যাও যখন, কি যে বিষন্নতা আমায় ঘিরে রাখে আমি সহ্য করতে পারি না। একবিন্দু পরিমান সুখ আমাকে স্পর্শ করেনা। শুধু তোমার অনুভুতিগুলো আমাকে আবেগময় করে তোলে। বিন্দু বিন্দু রক্ত কনা গুলো স্পন্দিত হয় আর বলে," আমার কাছে এস প্রিয়তমা, তোমার অনুভুতি আমাকে পাগল করেছে  তোমাকে পাওয়ার জন্য। একবার তমার দর্শন আর একটু ছোঁয়া আমার দিবা নিশি কাম্য। এস আমার সাথী এস আমার বুকে"

আমি সকল সুখের উৎস

ভালোবাসা টা এমন একটা কিছু যা দুটো মনকে এক করে সুখের সুচনা ঘটায়। দুটো মনে জাগায় এক অনাবিল সুখের অনুভুতি। কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়। হোক সে কল্পনা কিন্ত সেখানে তো দুজন ই থাকবে। এটা যে কি মধুময় তা ওই দুজন ছাড়া আর কেউ জানেনা।


শুন্যের অসীম সীমায় হারিয়ে গিয়ে চোখে চোখ রেখে, হাতে হাত রেখে খুব কাছাকাছি থেকে বলতে ইচ্ছা হয় ভালবাসি তোমায়...
এতো বেশী ভালোবাসতে ইচ্ছা হয়, যেন মৃত্যু কে ও গ্রহন করতে কোন দ্বিধা থাকেনা।

এ সব কিছুই একখানি কোমল হাতের ছোঁয়ায় ঘটে। হাতখানি যখন বাড়িয়ে দিয়ে বল, " আমাকে ধর , আমি পড়ে যাচ্ছি তো..."
ব্যস তোমার মুখের এই এতটুকু মধুর বানী আমাকে পাহাড় সমান সুখ দেয়, এক অজানা সুখের সাগরে ভাসিয়ে দেয় আমায়। আমার এই এতটুকু সুখ পাওয়া টা সবথেকে বড় পাওয়া। আর সেখানে তুমি তো আমার বেঁচে থাকার একমাত্র আবলম্বন।

বাশির সুরে চুড়ির তালে, গান শেষে ও বুকে পড়ব ঢলে

তোমার বাশিঁর সুর আমার চুড়ির তালে তালে, দিবা নিশি আমায় শুধু তোমার কাছে টানে। তুমি অন্তহীনে এক আশার আলো জ্বালিয়ে দিয়ে আমাকে ব্যকুল করেছ। কিন্তু কেন যেন ভয় হয় সুর হারানোর। এই সুর কখনো রণ মাদলে রূপ নিলে কি হবে আমার?

এই সুর কি তবে হবে হারানো সেই সুর? আমার সকল আশা নিরাশার চাবিকাঠি তুমি। আমাকে সখ্য করে এই সুর কে করতে পার আরও সুমধুর। এই যে সুর আমার কানে বাজে তা যেন হয় চীর অম্লান। আমার এই পথ চলা কে করে দেয় অমর ,চীর ভাস্মর।

দুটি পাখি যেন গান গায় ওই দূর বনে । যেখানে প্রকৃতির গভীর নীরবতা কে হার মানিয়ে দেয় তাদের সুর। আর আমার মনের সকল ক্লান্তি দূর করে তোমার বাশিঁর সুর। আমি ওই পাখি দুটোর মতই হতে চাই। ঠিক একই ডালে বসে গান গেতে চাই তোমার সুরে। আর যখন লীলা খেলা শেষ হবে আমি শুধু তোমার বুকে মাথা রেখে মরতে চাই। তোমার বুকের এতটুকু যায়গা আমাকে দিও......